পরিবেশকে সতেজ সুন্দর রাখতে গাছের প্রয়োজনীয়তা আমাদের সকলেরই জানা, তবু নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে যথেচ্ছভাবে আমরা প্রায়ই কেটে ফেলি বহু গাছ। কিন্তু নিজেদের ব্যস্ততা থেকে সময় বের করে একটা গাছ কাটার আগে একটা গাছ লাগানোর কথা আমরা কজনই বা ভাবি, বরং পরিবেশের তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করি প্লাস্টিকজাত দ্রব্য, আর বর্তমানে প্লাস্টিকের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়ত হয়ে থাকে পেনের মাধ্যমেই।দৈনন্দিন জীবনে বড়ো থেকে ছোট সকলেই নির্দ্বিধায় এই প্লাস্টিকজাত পেন ব্যবহারের পর শেষ হয়ে গেলে ছুঁড়ে ফেলে পরিবেশের মাঝে, খেয়াল থাকে না দূষণের।

এই প্লাস্টিকজাত পেন ব্যবহার করেই ছোট থেকে পড়াশোনা করেছেন বরানগরের বাসিন্দা শুভজিৎ সাহা, কিন্তু পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তিনি সচেতন সিলেন পরিবেশ দূষণের বিষয়েও।এবং সেই ভাবনা থেকেই তিনি বানিয়ে ফেলেছেন কাগজের পেন।পরিবেশ বাঁচানোই একমাত্র উদ্দেশ্য তাই নূন্যতম ৩টাকা মূল্যের এই পেন তিনি বানিয়েছেন শুধু কাগজ, পেনের রিফিল, কাগজ কাটার সরঞ্জাম এবং আঠার সাহায্যে।তবে এই পেন তৈরির দেড়-দুবছরের পরিকল্পনা তিনি বাস্তবায়ন করেন মাত্র ৯মাস আগে, আর এর মধ্যেই সারা ফেলে দিয়েছেন চারিদিকে, ইতিমধ্যেই পেনের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের নানা প্রান্তে এমনকি দেশের গন্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশের মাটিতেও।

তবে এই পেনের আকর্ষণ অন্য জায়গায়, কারন এই পেন শুধু কাগজেরই তৈরী নয় এই পেনের সাথে থাকে একটি সবজি গাছের বীজও, অর্থাৎ পেন ব্যবহার করার পর মাটিতে ফেলে দিলে সেখান থেকে সৃষ্টি হবে একটা নতুন গাছের। বন্ধুদের সাথে নিয়ে এই ‘রোহিত ইকো-ফ্রেন্ডলি পেন’ সংস্থা গড়ে তুললেও শুরুতে মুনাফা তেমন লাভজনক না হওয়ায় পাস থেকে সরে গেছে অনেকেই তবু সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে চালিয়ে যাচ্ছেন এই পেন তৈরির কাজ।