আজ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হলেও এখনো পরীক্ষার এডমিট কার্ড হাতে পায়নি বহু পড়ুয়া।পরীক্ষা না দিতে পারলে পড়াশোনার ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে এই আতঙ্কে রাতে নিজের গড়ে সিলিং ফ্যানের সাথে গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে হাবড়ার বাসুলডাঙার বাসিন্দা মর্জিনা খাতুন। ডায়মন্ড হারবার গার্লস হাইস্কুলের ওই ছাত্রীর বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি, দীর্ঘ লকডাউনের কারনে এবং বড় পরিবার হওয়ায় আর্থিক টানাটানি থাকলেও পড়াশোনা বন্ধ হতে দেননি ছেলেমেয়েদের। বড়মেয়ে মর্জিনা অনলাইনে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপও করে অনলাইনে কিন্তু বাকি সহপাঠিদের এডমিট কার্ড সময়মতো এসে পৌঁছালেও পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত সে হাতে পায়নি তার এডমিট কার্ড।

এদিন রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে পরিবারের চেষ্টায় তার প্রাণ বাঁচানোর সাথে সাথে ঘটনার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় তড়িঘড়ি মর্জিনার বাড়ি চলে আসেন ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে। মর্জিনাকে এবং তার পরিবারের সকলকে আশ্বস্ত করার পাশাপাশি বিষয়টি ফোনে জানান সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে। নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রে এক ছাত্রীর অসহাতার কথা শুনে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্যবসুর সাথে তড়িঘড়ি যোগাযোগ করে বন্দোবস্ত করেন ওই ছাত্রীর এডমিট কার্ডের।ওই ছাত্রীর হাতে এদিন খাতা পেন ও কিছু খাবার তুলে দেওয়ার পাশাপাশি এদিন সন্ধ্যে নাগাদ স্কুলে প্রধান শিক্ষিকার উপস্থিতিতে মর্জিনার হাতে এডমিট কার্ড তুলে দেন এলাকার মহকুমা শাসক সুকান্ত সাহা। পরীক্ষা দিতে পারবে জেনে স্বস্তি ফিরেছে মর্জিনা সহ তার গোটা পরিবারের।