গত ১৯ মার্চ জাহাজে আসা ১১৬৬৬.৩৩৫ মেট্রিক টন তরল প্রোপেন এবং ৩২৮৪৮.৮০৪ মেট্রিক টন বিউটেন ছোট আকারের বার্জে খালি করল কলকাতা বন্দর
জলপথে পরিবহন চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই, সেখানে বর্তমান যুগে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে জলপথের গুরুত্ব বেড়েছে বই কমেনি। আর পেট্রোপণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে জলপথের জুড়ি মেলা ভার, তবে একটি বড় জাহাজের ক্ষেত্রে যেখানে ২৪মিটার পর্যন্ত নাব্যতার প্রয়োজন হয় সেখানে কলকাতা বন্দরের নাব্যতা মাত্র আট থেকে সাড়ে আট মিটার হওয়ায় বড় পণ্যবাহী জাহাজ কখনোই কলকাতার হলদিয়া বন্দরে নোঙর করতে পারে না। এতদিন এ সমস্যা সমাধানের উপায় হিসেবে বড় জাহাজের পণ্য ছোট জাহাজে স্থানান্তরিত করা হত স্যান্ডহেডে শিপ-টু-শিপ অপারেশনের মাধ্যমে ক্রেন ব্যবহার করে। আর তরল পেট্রোপণ্যের ক্ষেত্রে তা ইন্দোনেশিয়ার মালে বন্দর থেকে ছোট জাহাজের ট্যাঙ্কারে ভরে কলকাতা বা হলদিয়া বন্দরে নিয়ে আসা হত। কয়েক বছরে হলদিয়া বন্দরে এলপিজি আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায়, গত অক্টোবরে গভীর সমুদ্রে হলদিয়া বন্দরে শিপ-টু-শিপ অপারেশনের মাধ্যমে এলপিজি আমদানিতে সাফল্য পেয়েছিল কলকাতা বন্দর। আর এবার সেই মতো, গত ১৯ মার্চ এমটি মিউরা নামের জাহাজ শ্রীলঙ্কার ত্রিঙ্কোমালি বন্দরে নোঙর করলে, শুল্ক্ দপ্তরের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বিকেল ৫টা থেকে জাহাজে আসা ১১৬৬৬.৩৩৫ মেট্রিক টন তরল প্রোপেন এবং ৩২৮৪৮.৮০৪ মেট্রিক টন বিউটেন ছোট আকারের বার্জে খালি করল কলকাতা বন্দর। পর্যায়ক্রমে চারটি বার্জ তরল পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য নিয়ে রওনা হয় বাংলাদেশের মোংলা বন্দরের উদ্দেশে।এই কাজের জন্য সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে টাগ বোট ছাড়াও ইয়োকোহামা ফেন্ডারের জোগান দিয়েছে কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর, যা গভীর সমুদ্রে পণ্য খালাস করার সময় দু’টি জাহাজের মধ্যে ধাক্কা এড়াতে সাহায্য করে।

এর আগে ইন্দোনেশিয়ার মালে বন্দর থেকে তরল পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের জাহাজ খালি করার জন্য বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হত। সেখানে এখন শিপ-টু-শিপ অপারেশনে সাফল্য পাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রা খরচের ধাক্কা এড়িয়ে মিলেছে নতুন আয়ের রাস্তা। তাই এ বার বাংলাদেশের মোংলা বন্দরের জন্য একই উপায় অবলম্বন করে আয়ের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্পর্ক মজবুত করার লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ।