এখনো বৈশাখ মাস আসতে ঢের দেরি কিন্তু তার আগে মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রার পারদ উর্ধমুখী। তাই দিনের শুষ্ক গরম হাওয়ায় শরীরকে আদ্র রাখা খুব প্রয়োজনীয়। কারন শহরের তাপমাত্রা যে গতিতে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে তাতে গরমের কারনে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। কিন্তু পরিবেশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ যেখানে আমাদের একার সাধ্য নয় সেখানে দৈনন্দিন জীবন যাপনে সামান্য কিছু পরিবর্তন নেই সুস্থ থাকা যাবে এই গরমে। খাদ্যরসিক হিসেবে তেল-ঝাল মশলা ছাড়া খাবার যেন মুখে রোচে না, তাতে যদি ডাক্তারের নির্দেশিকা লঙ্ঘিত হয় তাতেও পরোয়া নেই। এমন মনোভাব নিয়ে অনেকেই থাকেন কিন্তু এতে স্বাস্থ্যের অবনতি অবসম্ভব আর যাদের ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা রয়েছে তাদের তো কথাই নেই।

কিন্তু রান্নার স্বাদ বজায় রাখতে গিয়ে হাজার চেষ্টা করেও রান্নায় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না তেলের মাত্রা। তাই রান্নায় তেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে মেনে চলতেই পারেন কয়েকটি নিয়ম, রান্নার সময় ব্যবহার করুন ননস্টিক পাত্র। এতে একদিকে খাবার যেমন রান্না হবে অল্প তেলে, তেমন বজায় থাকবে খাবারের স্বাদও। আর ঢাকা দিয়ে রান্না করলে সময় বাঁচানোর সাথে সাথে বাড়বে খাবারের পুষ্টিগুণও।

রান্নায় তেল পরিমান মতো ব্যবহার করলে তবেই রান্না সুস্বাদু হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তেলের পাত্র থেকে সরাসরি তেল ঢালতে গিয়ে রান্নায় বেড়ে যায় তেলের পরিমান। তাই এবার থেকে রান্নার সময় চামচে করে মেপে ব্যবহার করুন তেল। কিন্তু মাছ মাংস বেশি করে তেল দিয়ে কষিয়ে রান্না না করলে কেমন যেন জমে না। কিন্তু আজকাল বিনোদন জগতের তারকাদের থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সচেতন অনেক মানুষই মাছ বা মাংস রান্না করে থেকেন বেকিং পদ্ধতিতে। বেকিংয়ের ফলে একদিকে যেমন তেল লাগে নামমাত্র তেমনি রান্নার স্বাদও হয় অন্যরকম।
তাছাড়া আগেকার দিনের মা ঠাকুমারও তো ভাপে দিয়ে রান্না করতেন কত রকমের সুস্বাদু রান্না। তাই নতুন উপায়ে শুধু বেকিং না করে মাছ, মাংস বা পনির রান্না করে দেখতেই পারেন ভাপে রান্নার কায়দায়। এছাড়াও মাছ মাংস আগে থেকে ম্যারিনেট করে রাখলে রান্না করতে কম তেল লাগে, আর দীর্ঘক্ষণ ম্যারিনেট করে রাখার ফলে খাবারের স্বাদও বাড়ে। ম্যারিনেশনে দই ব্যবহার করলে রান্নায় খুব কম তেল লাগে। তাহলে গরমে হাত গুটিয়ে থাকার কোন কারন নেই, ঘরোয়া উপায়েই কম তেল ব্যবহার বানিয়ে নিতে পারেন আপনার পছন্দের পদ।