আগামী ২রা এপ্রিল থেকে রাজ্যে শুরু হতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগে উপনির্বাচনের এবং জয়েন্টের সময়সূচির কারনে বারবার বদলাতে হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নির্ঘন্ট। ফলে সমস্যায় পড়তে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের কারন উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলের ওপর নির্ভর করেই মিলবে স্নাতক স্তরে ভর্তির সুযোগ। কিন্তু দীর্ঘদিনের প্রচলিত রীতি বদলে সোমবার একটি বিবৃতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারপার্সন এম জগদীশ কুমার জানিযেছেন, এবার কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট কলেজ গুলিতে স্নাতক স্তরে সুযোগ পেতে হলে উত্তীর্ন হতে হবে ‘কমন ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স টেস্ট’ বা সিইউইটি পরীক্ষায়। ইউজিসি জানিয়েছে, এই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরী করবে এনটিএ। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় গুলি সেই তালিকার ভিত্তিতে পড়ুয়াদের ভর্তি নিতে পারবে, ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো অভিন্ন কাউন্সিলিং হবে না।

প্রাথমিক ভাবে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এই পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর কথা ভাবা হলেও তা অতিমারীর জন্য পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়। তবে এবার জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে কম্পিউটারে মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেনের মাধ্যমে দেশের ৪৫টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট কলেজ গুলিতে ভর্তির জন্য এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে। মোট ১৩টি ভাষায় হবে এই পরীক্ষা এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এই পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এনসিইআরটি-র পাঠ্যপুস্তকের ওপর ভিত্তি করেই মাল্টিপল চয়েস প্রশ্নপত্র তৈরী করা হবে বলে প্রাথমিক ভাবে ইউজিসির তরফে জানানো হলেও, এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানা গেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে মনে করছেন প্রবীণ শিক্ষা প্রশাসক দেবী কর। তবে এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে নেগেটিভ মার্কিং থাকবে অর্থাৎ ভুল উত্তরে নম্বর কাটা যাবে তা নয়া বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট।প্রসঙ্গত, স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে স্নাতকে ভর্তির জন্য যদি ‘কমন এন্ট্রান্স পরীক্ষা’ নেওয়া হয় তাহলে দ্বাদশের পরীক্ষার গুরুত্ব কোথায় ? এ প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে দ্বাদশ বোর্ডের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর স্নাতক স্তরের প্রবেশিকায় বসার জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে যোগ্যতা সূচক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
Common University Entrance Test (CUET) for admission in UG programs from the academic session 2022-2023 in all UGC funded Central Universities will be conducted in 13 languages including English, Hindi, Marathi, Gujarati, Tamil, Telugu and Kannada: UGC pic.twitter.com/8VqgwFBq3h
— ANI (@ANI) March 22, 2022
প্রতিবার উচ্চমাধ্যমিকের পর দেশ জুড়ে একই রকম মূল্যায়ন হয় না বলে যে বিতর্ক সৃষ্টি হত, বলা ভালো কাট অফ মার্কস নিয়ে চলে আসা বিতর্কের অবসান হবে এই অভিন্ন পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে। কিন্তু এ বিষয়ে আলিগড় কিংবা জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটির মত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে সংখ্যা লঘুদের জন্যে সংরক্ষনের ব্যবস্থা থাকলেও তাদের জন্যও এই অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক, এমনটাই জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন এম জগদীশ কুমার। তবে এ বিষয়ে বহু কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সায় দিলেও আলিগড়-জামিয়ার তরফে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের এই পরীক্ষায় বসতে হবে না।