মঙ্গলবার কার্যত শেষ হল মাধ্যমিক, আজ বুধবার মাধ্যমিকের ঐচ্ছিক বিষয় গুলির পরীক্ষা। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুটা ঘটনাবহুল হলেও শেষটা মোটের ওপর নির্বিঘ্নেই হল বলা চলে। কিন্তু আগামী ২রা এপ্রিল অর্থাৎ আর ১৫দিন পর রাজ্যে শুরু হতে চলা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নির্ঘন্ট নিয়ে ধন্দে পরীক্ষার্থীরা। কারন শেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২রা এপ্রিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে ওই মাসেরই ২০তারিখ পর্যন্ত। কিন্তু এর আগেও যেখানে আগামী উপনির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় অন্তত দুবার বদলে গিয়েছে পরীক্ষার নির্ঘন্ট, সেখানে উপনির্বাচনের কারনে আবারো কি বদলাতে পারে পরীক্ষার সময়সূচি ? কারন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলা কালীন আগামী ১২ই এপ্রিল রয়েছে আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র অর্থাৎ মোট ৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ। আর এই ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, নির্বাচনের প্রচলিত রীতি ও বিধি মানলে কোনো সাংসদ এবং বিধায়কের মৃত্যুর ৬মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হয়, তাই ওই সময়সীমার মধ্যে ভোট করাতে হলে উপনির্বাচন আর পিছনো সম্ভব নয়।

অন্যদিকে ২৫ও ২৬ শে এপ্রিল দেশজুড়ে আইসিএসই এবং সিবিএসই-র দ্বাদশের দ্বিতীয় সেমিস্টার ও টার্ম পরীক্ষা শুরু হবে যা চলবে যথাক্রমে ৬ই জুন ও ১৫ই জুন পর্যন্ত, ফলে উপনির্বাচন করতে হলে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই তা করতে হবে। কিন্তু ১২ই এপ্রিল উপনির্বাচনের আগের দিন রয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের ফিজিক্স, নিউট্রেশন, এডুকেশন, হিসাববিজ্ঞান এবং পরের দিন রয়েছে কেমেস্ট্রি, সাংবাদিকতা, সংস্কৃত, পার্সিয়ান, আরবিক এবং ফ্রেঞ্চ বিষয়ের পরীক্ষা, ফলে সে সব পরীক্ষা সূচি মেনে হওয়া নিয়ে প্রবল সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।আবার জেইই (মেন) পরীক্ষার সংশোধিত নির্ঘন্টের সাথেও সংঘাত বাঁধছে কেন্দ্রীয় বোর্ডের আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার সময়সূচির, কারন ইতিমধ্যেই ভোটগণনা ফলপ্রকাশের কারনে জয়েন্ট (মেন) পরীক্ষাও পিছিয়েছে, ফলে বিষয়টি জয়েন্ট পরিচালক এনটিএ-কে অবহিত করা হবে। উচ্চমাধ্যমিকের সময়সূচি নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।তারা যে পরামর্শ দেবে আমরা সেইমতোই সিন্ধান্ত নেব। ‘

কিন্তু পচিমবঙ্গের কয়েক লক্ষ্য পড়ুয়ার ভবিষ্যতের কথা ভেবে উপনির্বাচনের নির্ঘন্ট বদলে এত অনীহা কেন তা নিয়ে প্রশ্ন জাগছে সকলের মনেই, কারণ উপনির্বাচন ৬মাসের মধ্যে করার বিধি থাকলেও কোন রাজ্যের একটি বা দুটি বিধানসভা বা লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অন্য রাজ্যের সঙ্গে মিলিয়েই করতে হবে এমন বিধিরই উল্লেখ কোথায় পাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তাছাড়া এবার উচ্চমাধ্যমিক হবে হোমসেন্টারে সেখানে ৬,৭৭৫টি উচ্চমাধ্যমিক কেন্দ্রের মধ্যে একটিকেও ভোট কেন্দ্র করা হবে না বা শিক্ষক শিক্ষিকাদের নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হবে না এমন নিশ্চয়তাও দিতে পারছে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন ফলে পরীক্ষার মাত্র কয়েকদিন আগেও হটাৎ হঠাৎ পরীক্ষার সময়সূচি বদলে সমস্যায় পড়ছে পরীক্ষার্থীরা।