‘অশনি’-র চরিত্র বদল এ যাত্রায় ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে বাংলাকে। তার উপর গোটা এপ্রিল মাস ধরে দহন জ্বালায় জ্বলছে শহর থেকে গ্রাম। তবে মে মাস শুরু হতে না হতেই একের পর এক কালবৈশাখীর জন্য স্বস্তির বৃষ্টি পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গ। ঐ দিকে ক্যালেন্ডার জানাচ্ছে – মাঝে আর গোটা ১৫ দিন , তার পর জুনের আগমন। তাহলে তো বঙ্গে বর্ষা আসার সময় হয়ে গেল। এ কথা বলতেই সকলের নজর নিশ্চই সোজা দক্ষিণ ভারতের দিকে। কারণ ১ লা জুন নাগাদ দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর পালে ভর করে কেরালায় বর্ষা আসে এবং তার ঠিক ১৫-২০ দিনের মাথায় অন্যান্য রাজ্যের মতই বঙ্গে শুরু হয় বর্ষার বৃষ্টি । তবে এ বছরে আর ১ লা জুন নয় , তার দিন সাতেক আগেই আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে প্রচুর জলীয়বাষ্প সংগ্রহ করে কেরালায় ঢুকছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু । সমস্ত জল্পনা উস্কে বর্ষা নিয়ে পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবনের আবহাওয়াবিদরা। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেরালায় ঢুকছে বর্ষা। কেরালায় প্রবেশের পর স্বাভাবিক পথ ধরেই উত্তর দিকে সরতে শুরু করবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। অন্যদিকে আগামী তিন চার দিনের মধ্যেই আন্দামানে শুরু হবে বর্ষার বৃষ্টি। কেরালার হাত ধরে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বর্ষা এলে তাহলে কি বঙ্গেও সময়ের আগে বর্ষা ঢুকছে ? যদিও এ প্রসঙ্গে এখনই কোন মন্তব্য করেনি মৌসম ভবন।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে গরম অনুভূত হলেও আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস সত্যি করে সন্ধ্যে গড়াতেই কালবৈশাখীর ঝড় বৃষ্টিতে স্বস্তি আসে আবহাওয়ায়। কিন্তু সূর্য উঠতেই যে কে সেই। আজ সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার থাকলেও বেলা বাড়তে রৌদ্যউজ্জ্বল আকাশ। বাতাসে জলীয়বাষ্প থাকার কারণে গরম আরো বাড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূবাভাস থাকলেও , বৃষ্টি শেষে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে।