অস্টেলিয়ার জাতীয় প্রাণী এবার পশ্চিমবঙ্গে। শনিবার ৩১নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে পূর্ণ বয়স্ক একটি ক্যাঙ্গারু উদ্ধার করে বনদপ্তর। সূত্রের খবর, ক্যাঙ্গারু পাচারের অভিযোগে হায়দাবাদের দুই বাসিন্দা ইমরান শেখ ও জাহিদ শেখকে গ্রেফতার করে তাদের আলিপুরদুয়ার এসিজেএম আদালতে পেশ করা হলে, আদালতের সামনে অভিযুক্তরা জানান যে ওই ক্যাঙ্গারুটিকে মিজোরামের জনৈক মিস্টার থাকদার কাছ থেকে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর কমলা নেহেরু প্রাণী সংগ্রহালয়ের জন্যে তারা নিয়ে আসছিল। ইন্দোর কমলা নেহেরু প্রাণী সংগ্রহালয়ের কিউরেটর নিহার পারুলীকর বিষয়টি স্বীকার করে নিলেও, মিজোরাম থেকে সড়কপথে ক্যাঙ্গারুটিকে আনার জন্যে বৈধ প্রমাণপত্রের নথির বিষয়ে কোন দায়িত্ব নিতে চাননি তিনি এবং বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও বনদপ্তর যাচাই করে দেখবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পূর্ন বয়স্ক ওই ক্যাঙ্গারুটির জলশুন্যতায় ভোগার ফলে দুর্বল হয়ে পড়েছিল তাই শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সুস্থ হলে ক্যাঙ্গারুটিকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

তবে পুলিশের তরফে ধৃতদের কাছে ওই বন্য প্রাণীটিকে মিজোরাম থেকে মধ্যপ্রদেশে নিয়ে আসার কোনো বৈধ নথি না থাকায় ধৃতদের এদিন ‘প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েল্টি টু এনিম্যাল’ আইনে আদালতে পেশ করা হয়, কিন্তু এদিন ধৃতদের তরফে আদালতে পেশ করা ওই নথি জাল কিনা তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পরে আদালত। যেখানে ভারতের মাত্র কয়েকটি চিড়িয়াখানায় ক্যাঙ্গারু রয়েছে সেখানে মিজোরামের ওই ব্যক্তির কাছে ক্যাঙ্গারু কিভাবে এল তা খতিয়ে দেখার সাথে সাথে আলিপুরদুয়ারের বারোবিশার কাছে ৩১নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে পূর্ন বয়স্ক একটি ক্যাঙ্গারু উদ্ধারের ঘটনায় পাচারকারীরা আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণ পাচারচক্রের জন্য উত্তরবঙ্গকেই করিডোর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।কারন আদালতের কাছে তারা যে নথি পেস করেছে তা নিয়ে ক্যাঙ্গারুর মতো কোনো বিদেশি বিদেশি প্রাণী এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া যায় না। এদিন ম্যারাথন শুনানি শেষে পুলিশ এবং বনদপ্তরের আধিকারিকদের ১৫ই মার্চের মধ্যে সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় আদালত।মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ই মার্চ।