আমজনতার ধারণা ,চলে গিয়েছে করোনা তাই মাস্ক ছাড়া , জীবন থেকে স্যানিটাইজার নামক শব্দটি ভুলে গিয়ে আরামসে জীবনযাপন করছে শহরবাসী। কিন্তু এরই মধ্যে যে চুপিসারে ধীরে ধীরে আবারও তিলোত্তমার পথেই ফিরছে করোনা বাবাজীবন তার খেয়াল হয়তো আমজনতা রাখছেনা। না, এখনও পর্যন্ত উদ্বেগের কোনো কারণ না ঘটলেও ধীরগতিতে বাড়ছে শহর তথা রাজ্যজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ এবং করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ১ জন।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর তরফে আগেভাগেই সচেতন করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কোন জেলায় কোরোনার প্রভাব কি, কোথায় কোথায় কোরোনার প্রকোপ বেশি এই সব মিলিয়ে একটি মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক এই মানচিত্র অনুযায়ী,গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যান দেখলে দেখা যাবে শুধুমাত্র কলকাতা নয় তাছাড়াও ৭টি জেলার বেশকয়েকটি পুরসভা এবং ব্লক অঞ্চলে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
আক্রান্তের সংখ্যা ১০ কিংবা তার বেশি যে অঞ্চলগুলির দিকে নজর রাখলে চিন্তার ভাজ গাঢ় হচ্ছে সেগুলি হলো , কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা , পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কিছুটা জায়গা এবং বীরভূমের কয়েকটি এলাকা।
উত্তর ২৪ পরগনার দিকে তাকালে দেখা যাবে , নিউটাউন এবং বিধাননগর অঞ্চলের আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। নিউটাউনে গতসপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ জন এবং বিধাননগর পুরনিগম অঞ্চলে ১১জন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর পুরসভাকেও স্বাস্থ্য দপ্তর প্রদত্ত মানচিত্রে আশংকাজনক অবস্থায় রাখা হয়েছে , গত সপ্তাহে খড়্গপুর অঞ্চলে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৫ জন। এছাড়াও বীরভূমের লাভপুরের অবস্থাও আশংকাজনক।
এছাড়াও মানচিত্রে দেখা হয়েছে এমনকিছু অঞ্চল যেখানে পাঁচ কিংবা তার বেশি সংখ্যক আক্রান্তের হদিস মিলেছে। যেমন কলকাতা পুরসভার ৬৯, ৭০, ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচ বা তার থেকে সামান্য কিছু বেশি আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। এরপর কলকাতার ৬৩, ১০৩, ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে তিন জন করে এবং ৬৪, ৬৫, ৬৮, ৮১, ৯২, ১১৮ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জন করে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। দক্ষিণ দমদম , কামারহাটি, বারাসত এই সমস্ত পুরসভায়ও গত ১ সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫ থেকে ২ জন।
এই বিষয়ে স্বাস্থ্য এবং পুরসভার কর্তারা জানাচ্ছেন , যে সমস্ত অঞ্চলে কোরোনার গ্রাফ বাড়ছে সেই সমস্ত অঞ্চলে আগামীদিনে ফের কন্টেনমেন্ট জোন করার কথা আলোচনা করা হচ্ছে। যে রুটিন নজরদারি এই মুহূর্তে চলছে তা আগামীদিনেও চলতে থাকবে।