আপনার সন্তানকে কলকাতার নামি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে চান ? তাহলে আপনাকে মেনে নিতে হবে বেশ কয়েকটি শর্ত। আর এই শর্ত সম্বলিত মুচলেকা প্রকাশের পরেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে শিক্ষামহলে।
প্রথমত স্কুল কতৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্তেরই কোনোরকম বিরোধিতা করা যাবেনা। স্কুল কতৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কোনো বিক্ষোভ করা যাবেনা বা কোনো বিক্ষোভে অংশও নিতে পারবেননা অভিভাবকেরা। শুধু তাই নয় ৭টি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে ওই মুচলেকায়। বেশ কিছু বেসরকারি স্কুল অভিভাবকদের থেকে “করবেন না” আখ্যা দিয়ে স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়ে নিচ্ছেন পড়ুয়াদের ভর্তির সময়েই। যেমন,ওই মুচলেকার চতুর্থ পয়েন্টে বলে হয়েছে , স্কুলের সুনাম নষ্ট হয় এমন কোনও কথা লিখিত বা মৌখিক আকারে সমাজমাধ্যম, সংবাদপত্র বা ডিজিটাল মাধ্যমে দিতে পারবেননা অভিভাবকেরা।এরপর ষষ্ঠ পয়েন্টে লেখা হয়েছে, স্কুলকে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে পারে, এমন কোনও বিক্ষোভে অভিভাবকদের অংশ নেওয়া চলবে না।
এই বিষয়ে প্রথমেই যে প্রশ্ন মাথায় আসে সেটা হলো, হঠাৎই এমন সিদ্ধান্ত কেন? কিন্তু একটু তলিয়ে ভাবলে দেখা যাবে – সেই করোনা কাল থেকে চলছে স্কুল-অভিভাবক সংঘাত , যার রেশ গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। বেসরকারি প্রায় প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই অভিভাবক বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছেন। শহর কলকাতার এক নামি বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপালও কিন্তু এই কথাই জানালেন, তিনি বলেন , এই সিদ্ধান্ত নিতে তারা কার্যত বাধ্য হয়েছেন। গত ২ বছর ধরে স্কুল প্রাঙ্গনে যা হয়েছে তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। সেই বিক্ষোভের সরাসরি প্রভাব পড়েছে শিশুমনের ওপরে আর সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।যদি কোনো সমস্যা থাকে তাহলে স্কুল কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে সেই সমস্যায় সমাধান হবে।
অবশ্য এই মুচলেকা সই করতে নারাজ বহু অভিভাবকরাই , মুচলেকায় সই না করলে কি হবে?- এর উত্তরে প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন , এই মুচলেকায় সই করা একেবারেই বাধ্যতামূলক না , যে অভিভাবকেরা সই করতে সম্মত হবেননা তারা অন্য স্কুলে নিজেদের সন্তানকে ভর্তি করতেই পারেন।
যদিও শহর কলকাতার সব স্কুল এই পথে হাঁটেনি। আর ইতিমধ্যেই অভিভাবকে মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক।