১৫ বছরের পুরোনো গাড়ি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য পরিবহন দপ্তর, সেই অনুযায়ী ১৫ বছরের পুরোনো প্রায় ১০ লক্ষ গাড়ি বাতিল করতে চলেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর।আর এই সিদ্ধান্তের পিছনে রয়েছে ‘ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল’ এর নির্দেশ। মূলত পরিবেশ দূষণ সৃষ্টিকারী যানবাহন নিষিদ্ধ করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে , চলতি সপ্তাহ থেকেই ১৫ বছর উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে এমন বাণিজ্যিক এবং ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকদের নোটিস পাঠানো হবে, তারপর মে-জুন মাস নাগাদ গাড়ির মালিকদের শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে বলা হবে। এর পরে গাড়ি মালিকদের অনুরোধ করা হবে যাতে তারা ওই সংশ্লিষ্ট গাড়ি রাস্তায় না নামান। আর এরপর শুরু হবে সরকারি খাতায় কলমে গাড়িগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত করে ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়া। এই ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়ার আগে , ২মাসে শুনানি শেষ হওয়ার পর ‘স্ক্র্যাপ পলিসি’ ঘোষণা করবে রাজ্য সরকার আর তারপর কোনও বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে গাড়িগুলোকে ভেঙে ফেলার।
আর গাড়ি গুলি ভেঙে ফেলার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরে উপযুক্ত “স্ক্র্যাপ ভ্যালু” পেয়ে যাবেন গাড়ির মালিকেরা।
এবার আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে – কেউ রাজি নাই হতে পারেন তার সাধের গাড়িটিকে ভেঙে ফেলার জন্য, তাহলে কি হবে?
এই কারণেই আরও একটি উপায় রেখেছে রাজ্য পরিবহন দপ্তর।বলা হয়েছে, যদি কোনো গাড়ির মালিক নিজের গাড়ি সিএনজি কিংবা বিদ্যুৎ চালিত করে নিতে চান তাঁকে সেই গাড়ির চরিত্র বদল করে চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে, সেই গাড়ি রাস্তাতেও নামাতে পারবেন গাড়ির মালিকেরা। এই দিক থেকে কয়েকটি সুবিধাও দেখতে পাচ্ছেন রাজ্য পরিবহন দপ্তরের কর্মকর্তারা , তারা জানাচ্ছেন, গাড়ির পুরোনো ইঞ্জিন বদলে যদি সিএনজি কিংবা বিদ্যুৎ চালিত করে নেওয়া যায় তাহলে যেমন সেটা পরিবেশবান্ধব হয়ে যাবে তার পাশাপাশি গাড়িটির আয়ু আরও ৫ বছর বেড়ে যাবে।