বহু বিতর্কের মাধ্যমে মাধ্যমিক শুরু হলেও পরীক্ষার শেষটা হয়েছিল মোটের ওপর নির্বিঘ্নেই। তবে দীর্ঘ লকডাউন কাটিয়ে ওঠার পর ছাত্রছাত্রীরা এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল যথেষ্ট উদ্বিগ্নের মাধ্যমে, তাই অভিভাবক এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের আবেদন ছিল একটু সহানুভূতির সাথে যেন পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করা হয়। সদ্য মাধ্যমিকের খাতা শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে বিলি বন্টনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, আর সেই খাতা দেখতে গিয়ে কার্যত চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। পরীক্ষার খাতায় কেউবা হুবহু টুকেছে প্রশ্ন পত্র আবার কেউবা সঠিক উত্তর বেছে না লিখে প্রশ্ন পত্রে দেওয়া সম্ভাব্য সব উত্তর গুলো লিখেছে উত্তরপত্রে। বানান ভুল বা বাক্যগঠনে অসঙ্গতি স্বাভাবিক ঘটনা হলেও কোন কোন উত্তরপত্রে প্রশ্নের উত্তর লেখার পরিবর্তে বাংলা বর্ণমালার কয়েকটি অক্ষর অগোছালো ভাবে লিখে রেখেছে এমনকি ইংরেজিতে নিজের নামের বানান লিখতে গিয়ে ‘ডি’ এবং ‘বি’ অক্ষরগুলিকেই উল্টো লিখেছে।

যেখানে পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী উত্তর পত্রে শুন্য দেওয়ার নিয়ম নেই। সেখানে এখন প্রশ্ন একটাই সহানুভুতির সাথে পরীক্ষার খাতা দেখার কথা বলা হলেও এই সমস্ত উত্তর পত্র গুলির ক্ষেত্রে মূল্যায়ন কিভাবে করা হবে ? পর্ষদের তরফে এই সমস্ত পরীক্ষার্থীদের পাস্ করানোর জন্য আলাদা ভাবে কোনো ব্যবস্থা না করা হলে গ্রেস নম্বর দিয়েও সকলকে পাস করানো মুশকিল, সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্বিক ফল খুবই খারাপ হতে চলেছে এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন। আবার নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইনের মতে, এই পরিস্থিতির জন্য পরীক্ষার্থীদের দোষারোপ না করে স্কুল গুলো পঠন পাঠনের জন্য কদিন আগে খোলা হলে, এমনকি মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন যদি কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হাত তাহলে ছাত্রছাত্রীদের এই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হত না।