শরিকি রাস্তা ও সীমানা প্রাচীর দেওয়া কে কেন্দ্র করে ভাইয়ে ভাইয়ে বিবাদ । আর এই বিবাদকে কেন্দ্র করে ভাই কে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল সৎ-দাদার বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের সোনাকুল অঞ্চলের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর ও সৎ-দাদা মতিউর রহমানের মধ্যে শরিকি রাস্তা এবং সীমানা প্রাচীর ঘিরে পারিবারিক বিবাদ দীর্ঘ দিনের। সেখানে ওই রাস্তা দিয়ে জাহাঙ্গীর ইট নিয়ে বাড়ির পিছন দিকে যেতে চাইলে গন্ডগোল বেধে যায় দুই পরিবারের মধ্যে। এমনকি এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সন্ধে থেকে দুই পরিবারের ফের বচসা শুরু হয় এবং ক্রমে তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছলে বছর ৫২র জাহাঙ্গীর আলমকে প্রথমে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে এবং পরে শ্বাস রোধ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে জাহাঙ্গীরের সৎ দাদা মতিউর এবং তার ছেলে সাফাতুল্লাহর বিরুদ্ধে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মৃত ব্যক্তির স্ত্রী খাইরুন বিবি অভিযোগ জানান, সামনে বাড়ির মেয়ের বিয়ে থাকায় ওনার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম বাড়ির সামনে বোঝাই করে রাখা ইঁট গুলি দুই বাড়ির মাঝখানে রাস্তা দিয়ে বাড়ির পিছন দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করে। কিন্তু আগে থেকেই ওই রাস্তার মাঝে ওনার স্বামীর সৎ দাদার পরিবারের তরফে একটি খুঁটি পুঁতে রাখা হয়েছিল, যা ওনার স্বামী উঠিয়ে ইঁট গুলো বাড়ির পিছনে রেখে ওই খুঁটিটা আবারো আগের জায়গায় পুঁতে দেওয়া হবে বলেন, কিন্তু ওই সৎ দাদা মতিউর এবং তার ছেলে সাফাতুল্লাহ দুজনে মিলে আক্রমণ করে জাহাঙ্গীর আলমের ওপর। দুজনে মিলে বাঁশ দিয়ে নিশংস ভাবে পিটিয়ে পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ওনার স্বামী জাহাঙ্গীর আলমকে।ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলমের সৎ দাদা মতিয়ুর পলাতক হলেও, অভিযোগের ভিত্তিতে মতিয়ুরের ছেলে জিয়াউর রহমান ওরফে সাফাতুল্লাহ কে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।কিন্তু ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার শুভেন্দু ভক্ত জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তাই এদিন ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পুলিশ প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ঘটনায় মৃতের স্ত্রী খাইরুন বিবি এবং মৃত ব্যক্তির শ্যালক নুরুল ইসলাম থেকে শুরু করে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য উজির হোসেন এবং সমস্ত এলাকাবাসীর বক্তব্য ওই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ যার জেরে আজ এই নিশংস ঘটনার সাক্ষী থাকলো গোটা গ্রাম। তাই তাদের দাবি পুলিশ প্রশাসন অবিলম্বে গ্রেপ্তার করুক দোষীদের। এলাকাজুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ানোয় ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।