‘চলতে চলতে, মেরে ইয়ে গীত ইয়াদ রাখনা, কভি আলবিদা না কাহেনা’, না বাপ্পী লাহিড়ীর সৃষ্টিকে কোনদিন আলবিদা জানাতে পারবে না ভারতের অন্যান্য প্রদেশের সাথে সাথে এই রাজ্যের মানুষও। কিন্তু তাঁর নশ্বর দেহের শেষ অংশটুকুকে আজ বাংলার পুণ্য সলিলা গঙ্গায় বিসর্জন দিয়ে গেলেন তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা।

২০২২’র নক্ষত্র পতনের ফেব্রুয়ারী মাসের ১৫ তারিখ হঠাৎ করেই প্রয়াত হন দেশের সুর সাম্রাজ্যের অন্যতম অধীশ্বর বাপ্পী লাহিড়ী। শেষ হয়ে যায় ভারতীয় সংগীতের একটি অধ্যায়, আর পারিবারিক প্রথা মেনে অপরেশ লাহিড়ী এবং বাঁশরী লাহিড়ীর মতো তাদের ছেলের অস্থিও বিসর্জিত হলো কলকাতার গঙ্গাবক্ষেই।

মুম্বাই থেকে এদিন কলকাতায় আসেন তাঁর স্ত্রী চিত্রা লাহিড়ী, ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী সহ লাহিড়ী পরিবারের সদস্যেরা। আর তারপর আউট্রাম ঘাট থেকে লঞ্চে করে বাপ্পী লাহিড়ীর অস্থি কলস নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দেওয়া হল মাঝ গঙ্গায়। বাতাসে তখন যেন ভেসে আসছে সেই সুর ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ অথবা ‘এ আমার গুরুদক্ষিণা, গুরুকে জানাই প্রণাম’।