একজন প্রতিভাবান টেবিল টেনিস খেলোয়াড় হয়েও জীবনের গুরুত্বপূর্ণ চারটে বছর হারিয়েছেন তিনি কারাগারের অন্ধকারে। ২০১৭সালের ১২ই ডিসেম্বর একজন সতীর্থের সাথে মোজাম্বিক থেকে ফেরার সময় মুম্বাই বিমানবন্দরে ৩.৯কেজি মেথ ট্যাবলেট সহ ধরা পড়েছিলেন মিজোরামের ওই টেবিল টেনিস খেলোয়াড় লালরিনপুইয়া লালছুয়ানকিমা। আদালতের সামনে তিনি জানান যে ভারতে ফেরার পরে আফ্রিকান এক বন্ধু তাকে ব্যাগটি ধরিয়ে বলেছিলেন বিমানবন্দরের বাইরে তাঁর এক বন্ধুর হাতে ওই ব্যাগটি তুলে দিতে। সরল মনে বন্ধুই বিশ্বাস করাই হল কাল, ওই ব্যাগটি নিয়ে বেরোনোর সময়েই গ্রেফতার হন এনসিবির হাতে।এমনকি তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিমকোর্টও। কোন উপায় না খুঁজে পেয়ে আশাহত হয়ে পড়েছিলেন লাল, কিন্তু এক মিজো যাজক লালের সঙ্গে দেখা করেন এবং বেশ কিছু খেলোয়াড় গায়ক লালের হয়ে মামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ সংগ্রহও করেন।

সুপ্রিমকোর্ট নিন্ম আদালতকে দ্রুত মামলা প্রক্রিয়া শেষ করতে বলে। লালের পক্ষের আইনজীবীরা প্রমান করেন যে, মোজাম্বিক বিমানবন্দর থেকে ওড়ার সময় লালের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা মাদকের ব্যাগটি তার সাথে ছিল না ছিলনা এমনকি ওই ব্যাগের ট্যাগে থাকা ফ্লাইটের নম্বরও আলাদা। ফলে নির্দোষ প্রমাণিত হন লাল, মুম্বাইয়ের তালোজা জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ফিরছেন মিজোরামে। তবে তিনি যদি আবারো ফিরতে চান খেলায় তাহলে তাকে দলে স্বাগত জানাতে এবং খেলার বিষয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত মিজোরাম টেবিল টেনিস এসোসিয়েশন এমনটাই জানলেন ওই এসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লালমিংলিয়ানা কোলনে।