অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই হল ওজন বেড়ে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ।আর এর ফলে অল্প বয়সেই দেখা দেয় অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ এমনকি ক্যানসারের মতো বিভিন্ন রোগ। তাই সুস্থ থাকতে ঝরিয়ে ফেলুন নিজের বাড়তি ওজন। তবে ওজন কমানোর কথা এলেই প্রথমেই সকলের ধারণা হয় না খেয়ে বা কম খেলেই পাওয়া যাবে সুন্দর ছিপছিপে গড়ন। ফলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই শুরু করে দেন নানা ধরনের ডায়েট।তবে সেই ডায়েটে আদৌ কতটা ওজন কমেছে সে নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে, কারন শুধু ডায়েটের ভরসায় ওজন কমানো কখনই সম্ভব নয়।

ডায়েটের ফলে ওজন দ্রুত হারে কমলেও তা ধরে রাখা এবং সুস্থ থাকা দীর্ঘদিন সম্ভব নয়। তাই উপোস করে বা পছন্দের খাবার ছেড়ে দিয়ে স্বাস্থ্যের এবং মনের ক্ষতি না করে শুরু করতে পারেন ব্যায়াম বা যোগাভ্যাস। যোগাভ্যাস মন ও শরীর দুই-ই ভাল রাখে ফলে ওজনও কমবে স্বাস্থ্যও ভালো হবে। তবে যোগাভ্যাস করার আগে তার সঠিক পদ্ধতি জেনে নেওয়া ভালো নাহলে নিতান্ত পক্ষে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করে দেখতে পারেন অবশ্যই ভালো ফল পাবেন।

যোগাভ্যাসের সাথে প্রয়োজন ভালো ঘুম। তবে অনেকের ধারণা যে বেশি ঘুমালে মেদ বাড়ে কিন্তু একজন মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে তার দিনে ৭ থেকে ৮ ঘন্টার ঘুম অপরিহার্য। তবে খাওয়াদাওয়া শেষ করেই শুয়ে পড়বেন না।রাতে খাওয়ার দু’ থেকে তিন ঘণ্টা পর ঘুমান, এতে ওজন বাড়ার ঝুঁকি কম।

ওজন কমাতে দীর্ঘ ক্ষণ চিবিয়ে খাবার খেলে শরীরে কম ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়। এই অভ্যাস কেবল হজম প্রক্রিয়া ভাল করে গ্যাস অম্বলের হাত থেকেই রেহাই মেলে না ,এতে খাওয়ার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়, এবং দীর্ঘক্ষণ খাবার চিবিয়ে খেলে খাবার গ্রহণের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে, ফলে ওজন কমে। এইসমস্ত নিয়মগুলি মেনে চলার সাথে সাথে লোভনীয় হলেও বাজারের প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।