যাঁরা মস্তিকের অনুশাসন ভুলে সারা দিতে চান মনের আহবানে তাদের জন্য রইল উপহার রইল একটুকরো প্রকৃতির

অতিমারী সামলাতে দীর্ঘদিন ঘরে বন্ধ জীবন, তারপর আছে সংসারের ঝামেলা অফিসের ওয়ার্কফর্ম হোমের চাপ, হাঁফিয়ে তো উঠবেনই। তাই যাঁরা মস্তিকের অনুশাসন ভুলে সারা দিতে চান মনের আহবানে তাদের জন্য রইল উপহার রইল একটুকরো প্রকৃতির। কি ভাবছেন এই প্রকৃতি উপভোগ করতে যেতে হবে অনেক দূর? একদমই না কলকাতা থেকে মাত্র ২৯০কিমি দূরে পুরুলিয়ার ভিতরে যাত্রা করতে হবে মাত্র ৫৫ কিমি তাহলেই পৌঁছে যাবেন সবুজের মাঝে। মুরুগুমা, পুরুলিয়ায় অযোধ্যা পাহাড়ের পাদদেশে ঘন জঙ্গলের মাঝে একটি ছোট্ট জলাধার কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা পর্যটনস্থল। শাল, পলাশ, সেগুনের মাঝে অবস্থিত সাহারাঝোর নদীর ওপর গড়ে ওঠা এই মুরুগুমা জলাধারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে মন শান্ত হতে বাধ্য।

এখানে অধিকাংশ মানুষই আসেন শহরের কোলাহল ভুলে নিরিবিলিতে একটু সময় কাটাতে। তাই এই মুরুগুমা লেকের জলে পা ডুবিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করার চেয়ে নিরিবিলিতে সময় কাটানোর ভালো উপায় আর কি হতে পারে। আর যদি চান আশপাশটা একটু ঘুরে দেখতে তাহলে চলে যেতেই পারেন হাঁটা পথে দেড় কিমি দূরে অবস্থিত সুইসাইড পয়েন্টে। নামটা শুনে অদ্ভুত লাগলেও পাহাড়ের শীর্ষবিন্দুতে অবস্থিত এই জায়গাটির তিনদিকেই রয়েছে পাহাড়ি খাদ ও জলাধার,তবে মরসুম বুঝে সতর্কতা অবলম্বন করাই শ্রেয়। এছাড়া একটু দূরে অবস্থিত মুরুগুমা গ্রামটিও বেশ সুন্দর, পায়ে হেটে ঘুরে দেখে আসতেই পারেন নানা উৎসবে গ্রামবাসীরা কি সুন্দর করে সাজান বাড়ির দেওয়াল। আর যদি সাথে গাড়ি থাকে তাহলে আসে পাশের অন্যান্য জলাধার পাহাড়ি ঝর্ণা গুলো ঢুঁ মারতে পারলে তো আর কথাই নেই, মনের সমস্ত ক্লান্তি ধুয়ে যাবে মুহূর্তে।

আর যদি বা ক্লান্ত লাগে তারজন্যে তো রয়েইছে রিসর্ট। তবে সংখ্যায় অল্প হওয়ায় আগে থেকে যোগাযোগ করে যাওয়াই ভালো, খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা হিসেবে মিলবে আমিষ নিরামিষ উভয়ই। আর যারা একটু অন্যভাবে প্রকৃতির স্বাদ উপভোগ করতে চান তাদের জন্যে সবচেয়ে ভালো বিকল্প হল ইকো টুরিজম বা প্রকৃতির কোলে থাকার সুযোগ অথবা সদ্য গড়ে ওঠা হোম-স্টে গুলো।