আগে বন্দী জীবন মানে ছিল জেলে বা লকআপে থাকা। আর নোবেল করোনাভাইরাস এর দাপটে আর একরকম বন্দিজীবন আমাদের সকলের জীবনে নেমে এসেছে, যে বন্দি জীবনের নাম লক ডাউন। কভিডের মতো মারাত্মক সংক্রামক ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে, সেই বন্দি জীবন বেছে নেওয়া ছাড়া আর দ্বিতীয় কোন পথের হদিস এখনো দিতে পারেননি বিশেষজ্ঞেরা। তাই তিন মাসের বেশি সময় টানা বন্দী বন্দী খেলার শেষে, ফের করোনা রাক্ষসের হাত থেকে মুক্তি পেতে আমাদের যেতে হয়েছে সপ্তাহের দু’দিনের বন্দী জীবনে। গত বৃহস্পতিবারের পর আজ শনিবার ছিল সার্বিক লকডাউন। আর এবার মানুষ বোধ হয় সত্যিই ভয় পেয়েছে করোনাকে। না হলে সারাবছর যে বাজার বা অঞ্চল মানুষ থিক থিক করে, সেই সমস্ত অঞ্চলের ছবি আজ একেবারে অন্যরকম। জনমানবহীন, খা খা শূন্যতায় ঢাকা। অন্যদিকে এরপরেও কিছু বেয়াদব মানুষ বার হয়েছিল রাস্তায়, খুলেছিল দোকানপাট। আর অতি তৎপর পুলিশ একেবারে চালুনি দিয়ে চলার মতন করে টপাটপ সেই অতি উৎসাহীদের ভরে ফেলল লকআপে। শিবরাম চক্রবর্তী যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে হয়তো আমরা নতুন শেখা লকডাউন এর সাথে লক আপ এর সম্পর্ক নিয়ে মজাদার অথচ অর্থপূর্ণ কোন সাহিত্য পেতাম, এখনো হয়তো পেতে পারি, যদি লকডাউন না মেনে লকআপে যাওয়া অতিমানবেরা বাইরে এসে তাদের ধোলাইয়ের কোন বৃত্তান্ত ফাঁস করেন। অক্সফোর্ড ডিকশনারির নাম শুনলেই যারা ভিমড়ি খান, তারাই এখন কম্পমান হৃদয় অপেক্ষমান অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের অপেক্ষায়। খোলসা করে বললে বোধ হয় ভুল বলা হবে না, ছোটবেলায় যদি আমরা অক্সফোর্ড মান্য করে চলতাম তাহলে হয়তো এখন আর নতুন করে অক্সফোর্ডের দিকে তাকিয়ে বাঁচতে হতো না।