সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬২ হাজারের ঘর। বারাকপুর মহাকুমাতেও সংখ্যাটা নেহাত হেলাফেলা করার মত নয়, প্রায় ৫০০০। আর মৃত্যুর সংখ্যায় রাজ্যের প্রথম স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সরকারি ব্যবস্থার পাশাপাশি নিজেদের বাঁচাতে এক অভিনব উদ্যোগ নিল ঘোলা সারদাপল্লীর মিতালী সংঘ। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এলাকার সমস্ত মানুষের সমন্বয়ে তারা গড়ে তুলেছে ‘করোণা প্রতিরোধ কমিটি’। যে ধরনের কমিটি গড়ার কথা বারংবার বলছেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের তাবৎ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। এখন প্রশ্ন হল কমিটি না হয় গড়া হল, কি করছে সেই কমিটি? সবাইকে অবাক করে দিয়ে মিতালী সংঘের এই করোনা প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলেছে একটি মেডিকেল টিম। যেখানে প্রতিদিন এলাকার মানুষের জন্য থাকছে ন্যূনতম স্বাস্থ্য পরীক্ষা, যেমন শরীরের তাপমাত্রা, দেহে অক্সিজেনের মাত্রা এবং রক্তচাপ মাপার ব্যবস্থা। দরকারে সেই বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী মানুষকে পাঠানো হচ্ছে নির্দিষ্ট চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে। পাশাপাশি প্রতিদিন চলছে এলাকায় জীবাণুনাশক ছড়াবার কাজও। নিজেদের সুরক্ষিত রেখে পি পি কিট্ ব্যবহার করে, হাত মুখ ঢেকে এলাকার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে স্যানিটাইজেশনের কাজ করছে কমিটির সদস্যরা। আর সবচাইতে যেটা বড় খবর, সেটা বোধ হয় দেশে প্রথম, সেটা হল সারদাপল্লী এলাকার মানুষের জন্য পাড়ার একটি খালি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে একটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার অথবা সেফ্ হোম। এলাকার কোন মানুষের যদি করোনা উপসর্গ দেখা যায়, তাকে প্রাথমিক ভাবে এই বাড়িতে রেখেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। যার জন্য ব্যবস্থা হয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে শুরু করে অন্য সব কিছুর। এতসব কিছু নেপথ্যে থেকে পরিচালনা করছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী মাধব মন্দির