এপ্রিল শেষ হতে মাঝে আর এক সপ্তাহ। ফাল্গুন মাসের পর থেকে এখনো পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা পায়নি শহর কলকাতা। মার্চের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত গড়ে ৭ টি কালবৈশাখী পায় দক্ষিণবঙ্গ। চলতি বছর যেন বৈশাখের উপর রাগ করে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কালবৈশাখী। তার মধ্যে প্রতি দিন নয়া রেকর্ড গড়ছে তাপমাত্রার পারদ। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা সহ কলকাতায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পার করে গিয়েছে৷ আজ আসানসোল ,শ্রীনিকেতন ,মালদহ , দমদম , মেদিনীপুর-সহ দক্ষিণবঙ্গের ৯ টি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এই অত্যাধিক গরম থেকে নিজেকে বাঁচাতে বেশ কিছু পরামর্শ মেনে চলতে বলছেন চিকিৎসকেরা।
কী করবেন
১)হালকা সুতির পোশাক পড়ুন। রোদে বেরোলে ছাতা , টুপি ব্যবহার করুন। বাইক চালালে ভিজে রুমাল/গামছা ব্যবহার করুন নাক-মুখে জড়াতে
২)রোজ কমপক্ষে ২-৩ লিটার জল পান জরুরি। তেষ্টা না পেলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর জল খান। ওআরএস কিংবা নুন-চিনির জল আরো ভালো
৩)সহজপাচ্য খাবার খান। দই , ঘোল ,লস্যি ,ফলের রস ,ছাতু ও অন্যান্য সরবত , পাতলা ঝোল , ডালের মত ঠান্ডা ও জলযুক্ত খাবার খান
৪)খুব গরম থেকে ঠান্ডা এসিতে ঢোকার সময় নাকে রুমাল চেপে ঢুকুন। ৩০ সেকেন্ড পর রুমাল সরান। বেরোনোর সময়েও একই ফর্মুলা
৫)দিনে ২ বেলা ভালো করে ঠান্ডা জল পান করুন। গরমে কাজের মাঝে বার বার মাথা-মুখ-চোখ-ঘাড়ে জলের ঝাপটা দিন
কি করবেন না
১)প্রয়োজন ছাড়া রোদে বেরোবেন না। রোদে মাথা ঘোরা বা মাথা ঝিমঝিম করলে এতটুকু অবহেলা নয়
২)হাই প্রোটিন, তেলেভাজা, ফাস্ট ফুড, বাইরের জল , কাটা ফল,রাস্তার ধার থেকে ফলের রস খাবেন না
৩)বার বার এসি-তে ঢোকা-বেরোনো এড়িয়ে চলুন। এসি-র তাপমাত্রা খুব কম রাখবেন না
৪)ট্যালকম পাউডার এড়িয়ে চলুন। রোদ লেগে জ্বর এলে ওষুধ না খেয়ে শরীরের তাপমাত্রা কমাতে হবে জল, বরফ, পাখা ইত্যাদির সাহায্যে
৫)বাইরে থেকে ফিরেই ঠান্ডা জল খাওয়া বা স্নান করা নয়। আগে শরীর ঠান্ডা করুন