ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার প্রায় চার সপ্তাহ হতে চলল।বিশ্বের ক্ষমতাশালী দেশ গুলোর চোখ রাঙানি কার্যত উপেক্ষা করে রাশিয়া উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করে চলেছে তার আগ্রাসন প্রক্রিয়া।আর এই আক্রমনের কারন হিসেবে পুতিনের দাবি, ইউক্রেনের ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বায়ত্ত শাসন পাইয়ে দেওয়ার এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির আমলে ইউক্রেনের মাটিতে ‘গণহত্যা’ রুখতেই রাশিয়ার ইউক্রেন হামলা। যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে কেবল ইউক্রেনের সেনা ঘাঁটি এবং সৈন্য বাহিনী কে লক্ষ্য করে আক্রমন চালালেও বর্তমানে রুশ হামলায় আক্রান্ত হচ্ছেন ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিকেরাও।
A photo report from a #Swedish media about the debris removal at the site of a rocket attack on the 79th Separate Airborne Assault Brigade in #Mykolaiv. According to journalists, at least 40 people were killed. pic.twitter.com/agfaZibOH7
— NEXTA (@nexta_tv) March 18, 2022
ক্রমাগত রুশ বিমান হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউক্রেনের হাসপাতাল, শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো বহু অসামরিক প্রতিষ্ঠান, এমনকি সাধারণ মানুষের আশ্রয় নেওয়ার বাঙ্কার গুলিও রেহাই পায়নি এই আক্রমন থেকে।গণমাধ্যমের সূত্র ধরে যুদ্ধের প্রায় সমস্ত খবরই আমাদের অবগত, কিন্তু এই সংবাদ সংগ্রহে রাশিয়ার আগ্রাসনের শিকার হয়েছেন সংবাদ কর্মীরাও, তাই বিশ্ব জুড়ে সকলের মনে একটাই প্রশ্ন এ যুদ্ধ কি কখনো থামবে ? আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া বা লিবিয়ার সংঘর্ষের মতো নির্মম পরিণতি হবে ইউক্রেনেরও। এ যুদ্ধে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ২,৮৭০ জন সৈনিক নিহত হওয়ার পাশাপাশি প্রায় ৩০ লক্ষ সাধারণ মানুষ ঘরহারা হলেও কম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি রাশিয়ার, ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছে রাশিয়ার ৭,০০০ সেনা, আহত ১৪ হাজারেরও বেশি। যুদ্ধের এমতাবস্থায় আরো আগ্রাসী হয়ে ইউক্রেনে শব্দের চেয়েও দ্রুতগামী হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া। যদিও এর আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভ্যাকুয়াম বোমা ব্যবহারের অভিযোগ উঠলে তা অস্বীকার করলেও, এবারের এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা স্বীকার করে নিল রাশিয়া। হাইপারসনিক এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের প্রসঙ্গে রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনের ভূগর্ভস্থ ওই অস্ত্রাগারে মূলত ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমারু বিমানের যন্ত্রাংশ রাখা থাকত যা ধ্বংস করতেই কিঞ্ঝল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া। সব মিলিয়ে ক্রমশ আরও বিপজ্জনক দিকে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।