দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর বন্ধ ছিল রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান , কোরোনার দাপট কমতেই আবারও খুলে গিয়েছিলো রাজ্যের সমস্ত স্কুল ,কলেজ। কিন্তু এপ্রিল মাসে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে শিক্ষা দফতর তরফে গরমের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় কিন্তু এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে অভিভাবক থেকে শিক্ষামহল সকলেই চাইছেন যেতে খুলে দেওয়া হয় স্কুল,কারণ দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ ছিল স্কুল, সেখানে দাঁড়িয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলার পর ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক নতুন করে তৈরী করে নিতে যেমন সময় লেগেছে সেরকমই পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে তুলতে অভিভাবকদেরও দীর্ঘ চেষ্টা করতে হয়েছে। এসব কাটিয়ে আবারও যখন সবকিছু স্বাভাবিকের দিকে ঠিক তখনই ঘোষণা করা হয়ে দীর্ঘ গরমের ছুটির ফলে যে অভ্যেসগুলো পড়ুয়াদের মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছিল সেই নষ্ট হওয়ার আশংকায় গরমের ছুটি কমিয়ে শীঘ্রই স্কুল খোলার দাবি জানাচ্ছেন অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষকেরাও।
আর এই দাবিতেই পথে নেমেছেন শিক্ষকদের সংগঠন “বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি”র সদস্যরা, পড়ুয়াদের স্বার্থে রাজপথে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলেন শিক্ষকেরা, দাবি একটাই গরমের ছুটি কমিয়ে শীঘ্রই খুলতে হবে স্কুল। শিক্ষকদের গলায় দেখা গেলো প্ল্যাকার্ড , তাতে লেখা “আর ছুটি নয়। এ বার পড়াতে চাই”
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বৈঠকে জানিয়েছিলেন , আবহাওয়ার দিকে নজর রাখা হবে, তাপমাত্রা কমলে পরিস্থিতি বুঝে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।কিন্তু শিক্ষকদের দাবি সেই কথা রাখা হচ্ছেনা , তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলেও এখনও ছুটি কমানো হয়নি আর যার ফলে আখেরে ক্ষতি হচ্ছে পড়ুয়াদেরই।