আন্দোলনের দীর্ঘ ২৬দিন পর শেষমেষ বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, হোস্টেল খোলা, অনলাইন পরীক্ষা পদ্ধতি বজায় রাখা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পরীক্ষা পিছনের দাবিতে, গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি থেকে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের জেরে কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস। এই আন্দোলনের জেরে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন কর্মসচিব আশিস আগরওয়াল সহ জনসংযোগ আধিকারিক ও বেশ কয়েকজন অধ্যক্ষ। এমনকি অচলাবস্থা কাটাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেও, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সিন্ধান্তের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যান। কর্মসচিব ও সহ-আধিকারিকদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং বাংলাদেশ ভবনে ঘেরাও করার সাথে সাথে আন্দোলনের কারনে বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন বিভাগের পঠন-পাঠন।

দীর্ঘদিন বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস অচল হয়ে থাকার কারনে এদিন আন্দোলনরত পড়ুয়াদের চার প্রতিনিধির সাথে আলোচনায় বসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ আলোচনার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে পড়ুয়াদের দাবি মেনে নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, তারা জানান দ্রুত ছাত্রাবাস খুলে দেওয়া হবে এবং স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তবে বিজ্ঞপ্তি জারির দুই সপ্তাহের মধ্যেই এই পরীক্ষা নেওয়া হবে। দাবি মেনে নিতেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আবির খেলায় মেতে ওঠেন ছাত্রছাত্রীরা। আন্দোলনরত ছাত্রনেতা সোমনাথ সৌ জানান, দীর্ঘ ২৬দিনের লড়াইয়ে জয় হয়েছে, কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের দাবি মেনে ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার সাথে সাথে অনলাইনে পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে।