সাম্প্রতিক কালের ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে, এই বর্ষায় যে বৃষ্টি হয়েছে, আমফানের দিন ছাড়া, তাতে পানিহাটির এভাবে প্লাবিত হবার কথা ছিল না। কিন্তু দীর্ঘদিন পৌরসভায় কোন বোর্ড না থাকায়, পৌর পরিষেবা কার্যত শিকেয় উঠেছিল পানিহাটিতে। পৌরাঞ্চলের ১ থেকে ৩৫, একটি ওয়ার্ড পাওয়া যাবেনা যেখানে এই বর্ষায় জল জমে নি বা এখনো কোন কোন খানে জল জমে নেই।কিন্তু ২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারে বর্তমান বিধায়ক নির্মল ঘোষ জানিয়েছিলেন, পানিহাটি জন্য রাজ্য সরকার ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেবে। ভোটের পরে তার কিছু কাজ শুরু হতে দেখেও ছিল পানিহাটির মানুষজন। কিন্তু তার ফল কোথায়? এটাই এখন সবচাইতে বড় প্রশ্ন সাধারণ মানুষের! আর কতদিন জলবন্দি জীবন পানিহাটির মানুষের? বিধায়ক নির্মল ঘোষ-এর মতে মাঝে কোন পৌরবোর্ড না থাকার কারণেই সৃষ্টি হয়েছে এই অব্যবস্থা, কাজ শুরু হয়েছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়, আশা করা যায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই নিরসন হবে এই সমস্যার।