‘ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল লাগল যে দোল’…হ্যাঁ দোল সত্যিই গৃহস্থের দোর গোড়ায় এসে পৌঁছেছে। মার্চের শুরুতে করোনার সংক্ৰমন কিছুটা কমায় এবার দোল উৎসব পালিত হবে মোটামুটি সাজিয়ে গুছিয়েই। তাই দোল উৎসবে মেতে ওঠার আগে জেনে নিই বাংলার কোথায় কোথায় এ উৎসব পালিত হয় দেখার মতো করে। আর দোল উৎসবের কথা বললেই প্রথমেই যে জায়গার কথা মাথায় আসে সেটা হল শান্তিনিকেতন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাণের জায়গায় বসন্ত উৎসবের আয়োজনের পদ্ধতিঅন্যদের থেকে একটু আলাদা। দলের আগের দিন রাতে হয় ‘বৈতালিক’, আর পরের দিন ‘ওরে গৃহবাসী’ গানটির মাধ্যমে সূচনা করা হয় অনুষ্ঠানের। এত দিন পর্যন্ত সন্ধ্যায় গৌড় প্রাঙ্গণে রবীন্দ্রনাথের নাটক অভিনীত হত। তবে বর্তমানে উৎসবের স্থান নিয়ে কিছু বিতর্ক চলছে।

দোল উৎসবের কথা হবে সেখানে শ্রী-কৃষ্ণের উল্লেখ থাকবে না তাই কখনো হয়। আর এই উৎসব উপলক্ষ্যে চৈতন্য মহাপ্রভু ও রাধা-কৃষ্ণের পুজোকে কেন্দ্র করে নবদ্বীপেও দোলযাত্রার উৎসব হয় বেশ বড় করেই। এ সময়ে ১৫দিন ধরে গৌড়ীয় মঠে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করার হয় দেশবিদেশ থেকে আসা ভক্তদের জন্য।

নবদ্বীপের পাশপাশি একই ভাবে মায়াপুরে ইসকন মন্দিরেও আয়োজিত হয় দোল পূর্ণিমার উৎসব।